মাটির মায়া
সামীউল ইসলাম শামীম
হঠাৎ এক নিস্তব্ধ সকাল,
পাখির কুহু কুহু ডাক।
জেগে আছি জীব এক;
মনে অজানা হরতাল।
আচমকা এক মুখচ্ছবি,
করলো আঁখি আলোকিত!
বলল মন হাসিমুখে --
তুই কি আমার বন্ধু হবি?
কত বিকেল কত সন্ধ্যা,
কেটে গেল তুমিহীন।
ভোর দেখা হয় আর,
নগ্ন পায়ে হাটিনা কতদিন,
মনে নেই,
হয়না মাখা পথের ধুলো,
এলোমেলো শব্দ নেই।
হাসির শব্দ গুলো হারিয়েছি,
নেই আযানের ধ্বনি,
সন্ধ্যার মুখরিত সেই আড্ডা।
সাড়ি সাড়ি কৃষ্ণচুড়া,
নেই বকুলের হাসি।
আজ আমি একা,
ভীষণ একা।
বিদেশের মাটি,
সে তো ক্ষনিকের
চাকচিক্যময় জীবন!
দেশের মাটি,
বড়ই খাসা, আত্মভোলা,
আর আনন্দেতে ঠাসা।
বিদেশের জীবন,
কখনও রঙিন।
কখনও ধুয়া,
দেশের মাটির,
শুধু আপন।
যদি সবুজ ঘাসের বুকে শিশির,
বিন্দুর উপর পা ডুবিয়ে হাটতে চাও,
তবে আমি শিশির বিন্দু হবো!
আষাঢ় এর বৃষ্টিতে ভিজতে মন চায়,
আমি বৃষ্টির ফোটা হবো।
যদি রূপালী জোছনার চাদরে জড়াতে চাও,
আমি জোছনাকে দু'হাতে আগলে রাখবো,
তবুও তোমাকে দুঃখী হতে দিবো না।