পুরুষ কেন গোপনে কাঁদে?
একজন প্রজ্ঞাময় বৃদ্ধকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, পুরুষ কি কাঁদে?
তিনি জবাব দিয়েছিলেন, হ্যাঁ, পুরুষ কাঁদে, অবশ্যই কাঁদে।
যে প্রশ্ন করেছিল সে অবাক হয়ে বললো, পুরুষও কাঁদে? কখন? কীভাবে? কি এমন কারণ থাকতে পারে, যাতে করে পুরুষ কেঁদে উঠবে?
বৃদ্ধ বললেন-
পুরুষ কাঁদে, যখন তার মায়ের মত আপন মানুষগুলো এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যায়।
পুরুষ কাঁদে, যখন সে তার বাবা মা দুজনকেই হারায়।
পুরুষ কাঁদে, যখন তার সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পুরুষ কাঁদে, যখন সে তার মেয়ের বিয়ে দেয়।
পুরুষ কাঁদে, যখন তার অকৃতজ্ঞ একগুঁয়ে সন্তান তাকে সবার সামনে অপমান করে।
পুরুষ কাঁদে, যখন সে বুঝতে পারে সে আসলে কি ভীষণ অসহায়, জীবন যুদ্ধ তাকে কীভাবে গোলাম বানিয়ে রেখে দিয়েছে।
পুরুষ কাঁদে, যখন সে তার ভালবাসার মানুষগুলোর ভরণ পোষণ করতে ব্যর্থ হয়, তাদের সামান্যতম সখগুলোও সে যখন আর মিটাতে পারে না।
পুরুষ কাঁদে, যখন সে তার নিজের মা, মাটি আর দেশ থেকে অনেক দূরে, ভালবাসার মানুষগুলোকে একটু ছুঁতেও পারে না, একটু আদরও করতে পারে না।
হ্যা, পুরুষ কাঁদে, কিন্তু... সে তখনই কাঁদে,
যখন সে আঁধারের অতলে...
যখন ঝুম বৃষ্টি নামে...
যখন তার পাশে বালিশটা ছাড়া আর কেউই নেই...
পুরুষের সেই অশ্রু তার চোখের গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে না, যা অন্য কেউ দেখে ফেলবে। পুরুষের অশ্রু বেরিয়ে আসে তার হৃদয়ের গহীন থেকে, কখনো সেটা একটা দীর্ঘশ্বাস, কখনো বিস্ময়ে হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকা। পুরুষের অশ্রুতে তার চামড়ায় ভাঁজ পড়ে, চুল দাঁড়ি পেকে যায়, তার হাত দু'টো কেঁপে কেঁপে ওঠে।
এতটুকু বলে সেই বৃদ্ধ আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না, নিজেই কেঁদে উঠলেন তিনি। বললেন,
হ্যা রে মা, ঠিক এভাবেই পুরুষ মানুষ কেঁদে ওঠে, কাঁদতে থাকে। (সংগৃহীত) সম্পূর্ণ পড়ে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান, লাইক কমেন্ট শেয়ার করবেন প্লিজ!
আসল প্রেম ভালোবাসা?
কিছু সম্পর্ক অনলাইনে তৈরী হলেও তার প্রতি ভালোবাসাটা অফলাইনে থাকা মানুষের চেয়ে হাজার গুন বেশি হয়ে থাকে । চ্যাট করতে করতে ভালোলাগা তৈরী হয় , পরে এক সময় ভালোবাসায় পরিনত হয় ।
সব কিছু ছাপিয়ে যখন মানুষটার জন্য মায়া তৈরী হয়ে যায় তখন সেই মানুষটা আমাদের জীবনের একটা অংশ হয়ে থাকে । তার মন খারাপ , তার কষ্ট , তার সমস্যা সব তখন নিজের মনে হতে থাকে । এক সময় সব কিছু ছাপিয়ে মানুষটাকে না ধরে না ছুয়ে তার জন্য আকন্ঠ ভালোবাসা জন্মে । যারা বলে ভার্চুয়াল সম্পর্ক,আমি তাদেরকে বলব নিঃস্বার্থ ভালোবাসা।
কারন যার জন্য কোন এক্সপেকটেশন থাকে না থাকে শুধু অসীম ভালোবা সেই ভালোবাসার নামই হলো মায়া। যে মানুষগুলো একে অপরের জন্য কাঁদে , একে অপরকে জড়িয়ে থাকে , একে অপরের মন খারাপ ও অভিমান বোঝে তাদের ভালোবাসার কোন স্বার্থ থাকেনা । যারা চ্যাট লিষ্টে দশটা মানুষের সাথে কথা বলে সম্পর্ক করে থাকে আমরা বরং তার নাম ভালোবাসা না দিয়ে অনলাইন ডেটিং দেই ।
ভালোবাসা কেবল একজনের জন্য তৈরী হয়। বাস্তবতা শুধু ছুঁয়ে গেলেই ভালোবাসা হয় না । ভালোবাসলে ভালোবাসার মানুষ থাকে সবটা জুড়ে সেটা অনলাইন হোক কিংবা অফলাইন হোক । তারজন্য থাকে সীমাহীন মায়া ।
শোনো!!
তুমি কি অপেক্ষা বোঝো?
তীব্র অভিমানে মুখ ফিরিয়ে নিয়েও বার্তা পাবে না জেনেও আকুলতায় একটি বার্তার আশায় বসে থাকার নাম অপেক্ষা। ঐ যে, সন্ধ্যা নামলে যে পাখি নীড় হারায়, সে পাখি দ্বিকবিদিক ছুটাছুটি করে ঘরে ফেরার তাড়া নিয়ে। ঘর খুঁজে পাবে না জেনেও সে উড়তে থাকে আকাশে।
আচ্ছা তুমি নীরবতার ভাষা বোঝো?
বলার অনেককিছুই থাকে, শুধু বলতে গিয়ে গলায় আঁটকে যাওয়ার নামই নীরবতা। অপেক্ষা, অবহেলায় পড়ে থেকে মানুষ নীরব হয়ে যায়!
তুমি তো সবই বোঝো। শুধু বোঝো না, কেউ থাকার পরেও একা লাগার যন্ত্রণা। বোঝো না, ভালো থাকার একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে ফেলার বেদনা। ঐ যে সঙ্গী হারানো ডাহুক পাখির চিৎকার-কান্না, তুমি তো বোঝো না। তুমি মৃ ত্যু দেখো, ভালোবেসে মানুষের হৃদয়ের মৃত্যু! এসব দেখে দেখে অভ্যস্ত তুমি। শুধু আমায় দেখো না, শুধু আমায় বোঝো না!