রক্তজবা রাত্রি
সামীউল ইসলাম শামীম
রক্তজবা রাত্রি, নিস্তব্ধ এক সুর,
মেঘের মাঝে চাঁদও লুকায়, ব্যথার নিদুর।
তোমার চোখে, গভীর অন্ধকার,
মনে পড়ে যায় হারানো এক দীর্ঘ হাঁটার পার।
রাত্রির কোলে শূন্যতা আঁকা,
মন্দিরে বাজে শোকের বাঁশির তান।
শুধু একাকী আমি, তুমি নেই,
রক্তজবা রাত্রি যেন নিরব সেঁতু হয়ে গেছে।
গগনে উড়তে থাকে ঝরা পাতা,
একেকটি জবা যেন রক্তের হাহাকার।
প্রেমের শপথ, এখন শুধুই ম্লান,
রক্তজবা রাত্রি হয়ে রয়ে যায় অবিরাম।
তোমার অদৃশ্য ছোঁয়া, কানে ভেসে আসে,
রাতের আঁধারে মুখপাত্র খুলে যায় বাসে।
দূর আকাশে এক জ্বলন্ত নক্ষত্র,
তুমি ছিলে, ছিল আমার পৃথিবী, মধুর স্নিগ্ধ সঙ্গী।
রক্তজবা রাত্রি, তোমার আবেশ,
অমাবস্যায় ভেঙে যায় হৃদয়ের শীতল পেশ।
তবু এই অন্ধকারে, রক্তজবা গান,
জন্ম থেকে মৃত্যু, প্রেমের চিরকাল বান।
রক্তজবা রাত্রি পর্ব -২
রক্তজবা রাত্রি, আঁধারে ভরা,
চাঁদের আলো যেন মুছে যায়, ভারী ধরা।
আশার ঝিলিক নেই, ঘন তিমিরে,
বিলীন হয়ে যায় প্রেমের সঙ্গী ছবি শেষে।
নীরবতা ভাঙে, এক নিঃশব্দ কান্না,
মাঝরাতে যেন মেঘের চিহ্ন-অন্তরা।
তোমার অনুপস্থিতি, অদৃশ্য এক শোক,
রক্তজবা রাত্রি হয়ে, টুটে যায় প্রতিটি ফোক।
মুকাবিলা ছায়া, সন্ধ্যার রঙ,
আকাশে মেঘের ভাঙা পরিসংখ্যান সংরং।
রক্তজবায়, এক তীব্র চিৎকার,
মনে পড়ে যায়, সেই আগুনের ধার।
যতই চাই সান্ত্বনা, রাত্রি তাই গাঁথে,
কী জানি কেন, হৃদয়ে বিষাদ বেঁধে।
রক্তজবা রাত্রি, তবু তোমার ছবি,
চিরকাল বাঁচে আমার হৃদয়ে, স্নিগ্ধ শ্বাস-নিঃশ্বাসের চিবি।
শুনতে পাই এক ঝর্ণার গভীর গর্জন,
তবে ফিরে আসে, হারানো এক তীর্থের সংকল্প।
রক্তজবা রাত্রি, চিরকাল বয়ে,
প্রেমের তিক্ততা, আঁকড়ে ধরবে এই যন্ত্রণার কষে।
রক্তজবা রাত্রি পর্ব -৩
রক্তজবা রাত্রি, এক গভীর ছায়া,
সেই রাতে কাঁদে আকাশের মায়া।
অন্ধকারে, মেঘে ঢাকা চাঁদ,
হৃদয়ের ভেতর বাজে নিরব ধ্বনি তাণ্ডববাদ।
পৃথিবী স্তব্ধ, নিস্তব্ধ সে রাত,
জবা ফুলে রক্তবিন্দু, শোকের স্মৃতি ছড়ায়।
তোমার অন্ধকার মুখ, স্মৃতির মাঝে,
রক্তজবা রাত্রি, যেন মুছে যায় প্রভাতে।
হাওয়ার সাথে ভেসে আসে হারানো প্রেম,
তোমার চোখে আমি, কিন্তু দেখা নেই।
বিলীন হয়ে যায় দিনের আলো,
রক্তজবা রাত্রি, এক একলা মোর পথচলা।
গভীর দুঃখ, বাতাসে মিশে যায়,
মাঝ রাতে সুর মেলে, এক কষ্টের ত্রায়।
তোমার হাতের ছোঁয়া, স্মৃতির বেদনা,
রক্তজবা রাত্রি, কষ্টের অবসান চায়না।
রক্তজবা রাত্রি, রইল শুধু আশা,
তোমার ছায়া রেখে গেছি ফিরে বাসা।
এখনো অপেক্ষা করি, তোমার নীরব ফিরে আসা,
রক্তজবা রাত্রি, শেষ হয় না তবু তারার আশা।
রক্তজবা রাত্রি পর্ব -৪
রক্তজবা রাত্রি, আঁধারে ঘেরা,
তোমার স্মৃতি জ্বলে, হৃদয়ে মেরা।
মনের গভীরে, ব্যথার আঁচ,
রক্তজবা রাত্রি, মুছে না কোন বাধা, কোন পাথ।
তোমার না বলা কথা, মেঘে ভাসে,
অশ্রু গড়িয়ে পড়ে, মেঘে আছড়ে আসে।
চাঁদের আলো ফোটে, ভীষণ নিঃসঙ্গ,
রক্তজবা রাত্রি, একাকার মন, একাকী রঙ্গ।
রক্তজবা ফুলের রঙ, বিষাদের রঙ,
হৃদয়ে তোমার ছায়া, এক অপূর্ব সঙ্গ।
বিলীন হয়ে যায় আলো, রাতের ঘোর,
রক্তজবা রাত্রি, হৃদয়েও পুড়ে যায় চোর।
রাতের নিস্তব্ধতা, সঙ্গী হয় দুঃখ,
ভাঙা চাঁদে আবারও মেলে এক নতুন সুখ।
তবুও সেই রক্তজবা, নীরব আহ্বান,
শব্দহীন এক গানের, এক অমলিন সান্নিধান।
রক্তজবা রাত্রি, শেষ হয় না শোক,
কিন্তু তোমার স্মৃতিতে ভেসে যায় অনুপ্রবেশ।
রাত্রির আঁধারে, তুমি ফিরে আসো,
রক্তজবা রাত্রি, স্বপ্নে গাও যন্ত্রণার সুর।