জলবিন্দুর নৃত্য
সামীউল ইসলাম শামীম
নীরব রাতে চাঁদের আলো,
ছায়ার কোলে জেগে থাকে কালো।
পাতার উপর একটুকরো জল,
সারারাত ধরে নাচে উজ্জ্বল।
হাওয়ার শীষে কাঁপে তার প্রাণ,
মৃদু সুরে বাজে তার গান।
আলো ছুঁয়ে রঙের খেলা,
স্বপ্নের মতো মায়াবী ভেলা।
তারা ফোটে, তারা ঝরে,
জলবিন্দু তবু থেমে না পড়ে।
কখনো ধীরে, কখনো জোরে,
নাচে একা তার অন্তরে।
প্রকৃতির বুকে শিল্পের আভাস,
জলবিন্দুর নৃত্য যেন উপহাস।
মেঘের কোণে কান্নার স্মৃতি,
তবু বাঁচে সে আলোর গীতি।
রাত ফুরালে, সূর্য ওঠে,
জলবিন্দু যায় রঙিন পথে।
শেষ বিদায়েও আলো দেয়,
জীবনের গান শুনিয়ে যায়।
এই নাচ যেন জীবনের গল্প,
স্বপ্নে বাঁধা, তবু সত্যর ফসল।
জলবিন্দুর নৃত্য, এক মুহূর্তের জাদু,
প্রকৃতির বুকে সে অমর কবিতার কাব্য।
জলবিন্দুর নৃত্য পর্ব -২
নীরব মাঠে ভোরের শীতে,
জলবিন্দু নাচে পাতার গীতে।
সূর্য ওঠার আগে যেন,
জলকণার শরীরে রঙের বুনন।
হলুদ আলো ছুঁয়ে যায়,
চুপিসারে মায়া সাজায়।
কখনো হেলে, কখনো দুলে,
ঝরার আগে হাসে ফুলে।
বৃক্ষের শাখায় লুকিয়ে থাকা,
জলবিন্দু যেন জীবনের আঁকা।
একটি ক্ষণ, তবু কত মধুর,
জীবনের পথ যেন অগাধ সুর।
মাটির গন্ধ, ঘাসের শোভা,
তার সাথেই রঙিন এ ছবি রাখা।
প্রতি কণায় খুঁজে পাওয়া সুখ,
জলবিন্দুর নৃত্যে মিশে যায় দুখ।
চাঁদের আলোয় রাতে জমা,
সকাল হলে বাষ্পের ধমা।
তবু সে চলে গান গেয়ে,
প্রকৃতির প্রেমে ডানা মেলে।
জীবনের মঞ্চে ক্ষণিক এই নাচ,
তবু কত কাব্য, কত তার স্পর্শ।
জলবিন্দুর গল্প, ক্ষণজীবী আলো,
তাতে বাঁধা প্রকৃতির রূপের পালো।