মুক্তির লাল সূর্য
রক্তে রাঙা এক ইতিহাস,
বাংলার বুকে লেখা,
মায়ের চোখের অশ্রুজলে,
স্বাধীনতার পথটা দেখা।
মাটি জুড়ে বুলেট ছুটে,
বাতাস কাঁদে বীরের ব্যথায়,
তবু পিছু হটে না তারা,
প্রাণ দিলেও বিজয় থাকে।
নয় মাস শুধু আগুন জ্বলল,
বুকের ভেতর ক্ষোভের দাবানল,
সবুজ মাটি লাল হলো,
তবু মাথা নোয়ালো না মন।
পলাশ ফুটে রঙে রঙে,
গর্বে ভাসে স্বাধীন বাংলা,
সেই বিজয়ের সূর্য এখনো,
প্রাণে রাখে প্রতিটি মানষা।
ওরা গেছে, রয়ে গেছে,
রক্তমাখা সেই পতাকা,
যে পতাকায় লেখা আছে,
আমার সোনার বাংলাদেশ!
বাংলার মুক্তি
নয় মাস রক্ত, নয় মাস আগুন,
নয় মাস বুকে ছিলো প্রতিঘাত,
স্বপ্ন ছিলো একটাই শুধু—
বাংলা হবে স্বাধীন প্রভাত।
বুকের তাজা রক্ত ঢেলে,
লাখো প্রাণ দিলো দান,
মায়ের কান্না, বোনের আহাজারি,
গড়লো মুক্তির ঐতিহান।
পাখির মতো উড়তে চেয়ে,
যারা হলো শহীদ আজ,
তাদের রক্তে গড়া হলো,
লাল-সবুজের বিজয় সাজ।
শত্রুর ছোবল, আগুনের লেলিহান,
সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়,
তবু পিছু হটেনি বীরেরা,
স্বাধীনতার শপথ রয়।
এ মাটি আজো কথা বলে,
সেই সবুজ-লালের গান,
বাংলা মায়ের বীর সন্তানেরা,
লিখে গেলো গৌরবগান!
রক্তে কেনা স্বাধীনতা
রক্তে কেনা এই মাটি,
রক্তে কেনা এই দেশ,
শপথ নিলো বীর সন্তানেরা,
থাকবে না আর পরাধীন রেশ।
মায়ের চোখে অশ্রু ঝরে,
শহীদ সন্তানের নামে,
লাখো প্রাণের চিৎকার মিশে,
বাংলা জাগে বিজয়ের গানে।
মাটির গন্ধ, সবুজ শস্য,
সবাই চায় এক নতুন ভোর,
শোষণ-জুলুম, বন্দিশালা,
ভাঙতে হবে অন্ধকার ঘোর।
একটি পতাকা উড়বে সেদিন,
লাল-সবুজে গর্বিত প্রাণ,
সেই পতাকার প্রতিটি ভাঁজে,
বিজয়ের লেখা রক্তের দান।
এই স্বাধীন বাংলা আমার,
এই মাটি শহীদের দান,
তাদের রক্তে গড়া হলো,
সোনার বাংলার মুক্তির গান!