কিছু প্রবাদ

জীবনে কী পেলাম আর কী পেলাম না, তা নিয়ে চিন্তা না করে ভাবুন ভবিষ্যতে সবার সামনে কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন বা প্রকাশ করবেন। সেটাই আসল কাজ।

সামীউল ইসলাম শামীম


কিছু স্বপ্ন হারিয়ে যায়,

      ভেঙে যাওয়া সকালের ঘুমে।

কিছু শব্দ হারিয়ে যায়,

         কল্পনায় রাখা নীল ঘামে। 

সামীউল ইসলাম শামীম 



পুরুষের জীবন শুরু দায়িত্ব দিয়ে,

আর শেষ হয় মৃত্যু দিয়ে। 

সামীউল ইসলাম শামীম 




সময় থাকতে চিনলা না,

  গুরুত্ব তো বুঝলা না।

নিজের মতো চলেছো কত,

আপন হয়ে দেখলা না।

সামীউল ইসলাম শামীম 



সফলতা একদিন ঠিকই আসবে,

তার জন্য চাই কঠিন অধ্যবসায়।

সামীউল ইসলাম শামীম 


কবিতার নামঃ


1. "স্বপ্নের পাখি"

2. "অনুভূতির সংগ্রহ"

3. "আলোর পথে প্রবাহিত"

4. "সন্ধ্যার সুরে বিপ্লব"

5. "মেঘের মধ্যে বন্ধুত্ব"

6. "স্বপ্নবাণী"

7. "চিরনূতন দিগন্তে"

8. "প্রতিক্ষণের ছোঁয়া"

9. "হৃদয়ের অধ্যায়"

10. "অচেনা পথে প্রতিচ্ছবি"

11. "আলোকের সঙ্গীত"

12. "অমৃত অক্ষর"

13. "স্বপ্নদূত"

14. "অনুভূতির সীমানা"

15. "বিচারের রঙ"

16. "মেঘের মাঝে স্বপ্ন"

17. "অনুভূতির বাতাস"

18. "প্রেমের অডিও"

19. "আকাশের কান্না"

20. "বিপ্লবের রঙ"


বিনীত প্রতিবিম্ব, বিচারের ঝলক, সৃষ্টির শব্দ, সুরের সঙ্গীত, মুখোমুখি স্বপ্ন, চিরনূতন সূর্য, আলোর পথে আঁধার, সময়ের অভ্যন্তরীণ, অদৃশ্য সৃষ্টি, অপরূপ সময়, আলোকের স্বাধীনতা, সৃজনের পাথর, অনন্য চেতনা, অতীতের অধ্যায়, সময়ের স্পর্শ, চিরন্তন সংগীত, অদৃশ্য অনুভূতি, চিরদিনের স্মৃতি, আলোকের ঝলমল, সংসারের ছায়া, মেঘের মৌসুম, চিরদিনের আলো, অনুভূতির আবর্জনা, আঁধারের বাদল, অনুভূতির আলো, সৃষ্টির মুক্তি, অদৃশ্য আকাশ, আলোর সুরে, সময়ের আকাশ, অচেনা আলো, সৃষ্টির অগ্নি, আলোর সংসার, মেঘের মৌসুম, চিরনূতন সূর্য, আঁধারের বাদল, অচেনা আলো, আলোর স্বাধীনতা, মুখোমুখি স্বপ্ন, আলোর সঙ্গীত, অচেনা সৃষ্টি, চিরনূতন সময়, আলোর সংসার, অদৃশ্য আকাশ, চিরদিনের স্মৃতি, সময়ের স্পর্শ, অতীতের অধ্যায়, আলোকের স্বাধীনতা, সৃষ্টির পাথর, আঁধারের আলো, অদৃশ্য আলো, অবুঝ সৃষ্টি, সৃষ্টির অগ্নি, চিরনূতন আলো, সময়ের সুর, চিরনূতন সৃষ্টি।



কবি-পরিচিতি


সামীউল ইসলাম শামীম (২০০৩) বাংলা কাব্যজগতের এক অনন্য শিল্পী । তিনি বাংলাদেশের একজন তরুণ জনপ্রিয় কবি। মাত্র পঁনেরো বছর বয়সে নবম শ্রেণিতে অধ্যায়ন করার সময় থেকে তার কবিতা লেখা শুরু হয়। তিনি ২০১৪ সালে চরিতাবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে নিম্ন প্রাইমারি পাস করেন। নয় বছর বয়সে তিনি   গ্রামের মক্তব থেকে কোরআন  শিক্ষা অর্জন করেন । তিনি ২০১৮ সালে কিসামত চরিতাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পাস করেন। তিনি ২০১৯ সালে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন।বস্তুত তখন থেকেই তিনি সৃষ্টিশীল সত্তার অধিকারী হয়ে ওঠেন। তিনি পরিপূর্ণভাবে সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন । 'দৈনিক আমার সংবাদ এবং দৈনিক স্বপ্ন যাত্রা পত্রিকায়' “অবুঝ মন” কবিতা প্রকাশিত হলে চারদিকে তাঁর কবিখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনি 'তরুণ কবি' হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি 'জন্ম স্থান', 'অবুঝ মন', 'প্রকৃতির প্রেম'-সহ বিভিন্ন ধরনের কবিতা লেখেন। তিনি বর্তমানে ২০২৩ সালে আদিতমারী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঐ কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে থাকা অবস্থায় উদীয়মান সুরুজ প্রি-ক্যাডেট এন্ড কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। 


যারা সিপিএ মার্কেটিং এর উপর জীবন গড়তে চাচ্ছেন তাদের জন্য সুখবর। 

ফ্রিল্যান্সিং আইটি অনলাইন ভিত্তি প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে মাত্র ৩০০০ টাকায় পূরো সিপিএ মার্কেটিং কোর্স এবং সাথে পাচ্ছে একটি তাদের নিজের নামে ওয়েবসাইট, লাইফটাইম সাপোর্টের সুযোগ এবং কীভাবে নিজের ওয়েবসাইটে এড দেখিয়ে ইনকাম করতে হয় তার সুযোগ তো রয়েছেই। তাই আর দেরি না করে আজি রেজিষ্ট্রেশন করেন।

ধন্যবাদান্তে,

এসআই শামীম 

অধ্যক্ষ,

ফ্রিল্যান্সিং আইটি অনলাইন প্রতিষ্ঠান।

চরিতাবাড়ী,আদিতমারী,লালমনিরহাট।


গোধুলি চরণ


সামীউল ইসলাম শামীম 



তোমার আলোয় উন্মুখ হয়ে


থাকব বসে সমস্ত জীবন,


তোমায়-আমায় মিলেই তো;


জীবন দেখবে পৃথিবী নূতন।



এই অনন্ত প্রত্যাশার


নাম দিয়েছে কেউ প্রতীক্ষা!


ওই প্রতীক্ষাই আসলে


আমাদের জীবনের গল্পটা!


শেষ বেলাকার মূকাভিনয়


জীবন যেরকম জলীয়;


আমি কি চলে যাবো


যেখানে পাখির কলতান!



গোধূলির রঙ মেখে


পড়ন্ত-বিকেলে অন্ধকার ছায়া,


পরিত্যক্ত; তুমি রঙহীন


ক্ষমা ভিক্ষায় কাতর।



জানিনা তোমার ভালবাসা ছিলো-


নাকি ছিলো শুধু অভিনয়,


নিজেকে বোঝায় তবু কেন-


অযথাই নিস্ফল সময় দিন গোনায়!




 হিংসুটে বাদশা


সামীউল ইসলাম শামীম 


একদা ছিল ♚ রাজা 'বাদশা',


তার জন্ম আরবের গোত্রের নাম 'শা'।


সেনাপতি ছিল খুব বিশ্বস্ত,


রাজ্যর সকলকে দিতো আশ্বস্ত।


একদিন বাদশা কহিলেন,


সেনাপতি মহিয়েন;


নিয়েছো কী রাজ্যের কোন খোঁজ!


চাপিয়ে দিয়েছো কেন নেই কী তোমার কোন বোঝ?


সেনাপতি বলিলেন,জাহাপনা,


বলিয়াছে কেবা; চর্ম-চামারেরা?


বাদশা গেলেন চটিয়ে,


সকল প্রজাদের আনিলেন ডাকিয়া,


নেই কী তোমাদের কোন কান্ডকারখানা,


চামারেরা ঢুকিয়েছে কেবা,


আমার এই মস্ত প্রাসাদ খানা?


ডাক চামার্দের-ফর্দ করিয়ে লও;


দিয়ে দাও পঞ্চাশ ঘা পিঠে,


বাহির করিয়ে দেও আমার রাজ্যের বাহিরে।


কেঁদে-কেঁদে বলিলেন চামার,


বেশি দিন থাকিবে না আপনার প্রাসাদ,


বেঙ্গে হবে চুরমার।


সেনাপতি কহিলেন,


চুপরও যতো মিথ্যাবাদীর দল;


বাদশা কহিলেন,'নেই ভয় নেই ভয়',


কেনই বা হবে পরাজয়?


প্রজা কহিলেন,জাহাপনা;


কী ই বা বলিয়াছে গর্দব মূর্খের দল,


চিরকাল বেঁচে রবে হবে না,


আপনার কোন ক্ষয়।


চর্মকারকে গর্ধ হস্তে ধাক্কা দিয়ে,


করিয়ে দিয়েছে বের,


বেশ কিছুদিন চলিয়ে গেছে,


সুখে! 


হঠাৎ একদিন অসুস্থ হয়ে গেছে বাদশা,


ডেকে আনিলেন কবিরাজ,ডাক্তার,দরবেশ;


দরবেশ কহিলেন, হুজুর অতিশীগ্রই,


ধ্বংস হয়ে যাবে সব প্রাসাদ-সামাজ্য!


সেনাপতি রেগে মেগে ছাড়খার,


এখনি তলোয়ার দিয়ে তোমার গর্দান,


ফেলে দিব, যদি একতা,


বল আর একবার!


দরবেশ কহিলেন,নয় তো আমি বীরপুরুষ,


নয় তো মহাজ্ঞানী।


হিংসুটে বাদশা মহা ধ্বংসের,


 দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে,


একটুই বলিতে পারি আমি?


যতোই যাচ্ছে দিন ততোই কাতর হচ্ছে 'বাদশা'


বাদশা কহিলেন, সেনাপতি আমি যে,


করিয়াছি মহাপাপ;


পাব কী এর ক্ষমা?


চর্মকারকে খুঁজে আন যাকে,


করিয়ে দিয়েছিলাম বের?


প্রজারা কহিলেন, তবে কী তাহাই সত্যি হলো,


বলিয়া ছিলেন গরীব চর্মকার?


সেনাপতি কহিলেন,ফর্দ আছে হুজুর,


পাই নাই ওরে পাই নাই-


খানিকক্ষণ পরে চলিয়া যাবে;


আমার স্বাদের জীবনটাই?


চলিয়া গেলেন বাদশা,


মহারাণি কহিলেন,বাদশা আর নেই, 


সেনাপতি নিজেকে বাদশা বললিয়ে,


ঘোষণা দিয়ে রানিকে প্রাসাদ,


থেকে করিয়ে দিলেন বের।


পথে পথে ঘুরে রানি হয়ে গেছেন,


সেনাপতির বিশ্বস্ত চাকর?


নতুন বাদশার চাকরের হস্তে,


অপমানিত আর লাঞ্চিত-


হচ্ছে বার বার!


এভাবেই পতন হয়েছে,


হিংসুটে বাদশার?





জীবন প্রদীপ


সামীউল ইসলাম শামীম 


বিকেল গেছে, সন্ধ্যা আসছে,


হয়নি এখনও সময়, 


আবেগের উপর নির্ভর, 


বেঁচে থাকা এটাই মূখ্যময়।


সন্ধ্যা বেলায় ঝিঝি পোকা, 


ডাকছে দুর জায়গায়,


 অবাক হয়ে বসে শুনি, 


মুগ্ধ হয়ে তাই। 


সবার সাথে খাবার বসে, 


জানা -অজানা বলছো কথা,


তুমি তাদের কাছে। 


ছুড়ে ফেলে দিবে তোমায়, 


ব্যবহারের শেষে।


শুয়ে শুয়ে ভাবছো কথা, 


এপাস-ওপাস করে।


অতি নিকট ধ্বংস হবে, 


বেশি অহংকারে।


মন বসে না,ঘুম আসে না,


ভাবি শুয়ে যেন,


পারা প্রতিবেশী যেন,


আত্মীয় হেন।


ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখা,


কাল্পনিক হবে। 


চেতন হয়ে সপ্নগুলোকে, 


তুমি সাজিয়ে নিবে।


মাঝ রাতে জেগে থাকা, 


হয়তো মহান্ত।


মৃত্যুর পরেও বেঁচে রবে,


তুমি জীবন্ত।


রাত ফুরোয় না সকাল হয় না,


মনে হচ্ছে সেই পূরনো স্মৃতি।


সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে, 


এখনও সচেতন হতে পারনি।


ময়না-কোকিল,চড়ুই -শালিক, 


ডাকছে গাছের ডালে, 


সকাল হলো,সূর্য উঠেছে,


শুদ্ধ হবো বলে।



     মায়া

সামীউল ইসলাম শামীম 

নিশ্বাস টাও হারিয়ে যাবে,

ক্লান্ত কোন সৃহরে।

বিশ্বাস টাও হারিয়ে যাবে,

মিথ্যা মায়ার প্রহরে।

স্বপ্ন গুলো ঘুচে যাবে,

মিথ্যা আবেগের কাছে।

স্মৃতিগুলো মুচে যাবে,

নৃত্য নতুন খোঁজে।

বাঁচার আশা ছেড়ে দিবে,

দুঃখ বুকে চেপে।

ভাববে বসে একলা ঘরে,

আচলে দু নয়ন ঢেকে।

সময় থাকতে বুঝলে নারে,

রঙ্গিন সাজে সেজে।

মিথ্যা নেশায় ডুবে গেছো,

ছোট্ট সহজ বুঝে।


তুমি সব কাজে বিজয়ী হলে,
নিজেকে হারিয়ে ফেলবে।
আর কিছু কাজে পরাজিত হলে,
নিজেকে খুঁজবে।
সামীউল ইসলাম শামীম 

  মনের ক্লাসরুম
সামীউল ইসলাম শামীম

রাত্রি এলে ঘুম কিনি,
নগদ কিংবা ধার।
বুক পকেটে তোর ছবিটা,
আজ স্মৃতির ক‍্যালেন্ডার।

দেখলি না তুই পিছন ফিরে,
দুচোখ ভরা জল। 
হঠাৎ করে ঘুমিয়ে গেলে,
কেমন করবি বল।

ভোর বেলা ডাকবি কতো;
ভাঙবে না আর ঘুম।
নিজের মতো গুছিয়ে নিস,
মনের ক্লাসরুম।



ভুলে যদি যাও তুমি এই আমাকে,
পারবে কি ভুলে যেতে স্মৃতি গুলোকে ?
সামীউল ইসলাম শামীম 


যে আমাকে বুঝবে,
সে শুধুই আমাকে খুঁজবে।
       সামীউল ইসলাম শামীম 



একটা তুমি সবার থাকুক,
না চাইতেও ভীষন আপন।
মন খারাপের সময় গুলো;
আদর মাখায় তখন।

একটা তুমি আমারই হোক;
যে বুঝবে নিজের মতো।
ভালোবাসার দুষ্টুমিতে,
সারিয়ে নেবে সকল ক্ষত।

একটা তুমি সবারই হোক;
যে তুমি টা থাকবে পাশে।
ভুল গুলো শুধরে নিয়ে,
আপন করে রাখবে কাছে।




গায়ের রংটা কালো বলে,
দেয়না কোনো দাম।
গাঁয়ের মানুষ দিলো আমায়,
কালো মেয়ে নাম।

মুখ ঝাকুনি দিয়ে বলল সেই দিন,
পাশের বাড়ির বুড়ি।
কেন দাও না মেয়ের বিয়ে,
বয়স হলো কুড়ি।

বুঝে গেছি এই সমাজে,
রঙের হয় বিচার। 
শুনতে হয় নানান কথা,
কালো মেয়ে আমার।


তুমি আমার এমনি একজন,
যাকে দেখে দুঃখ ভুলে যাই 
অসহ‍্য যন্ত্রণায় শান্তির আসায়,
কল্পনায় যার বুকে নিই আমি ঠাঁই।

তোমাকে খোঁজে বেড়াই,
আমার ছোট্ট স্বপ্নের নীড়ে।
তুমি না থেকেও আছো,
আমার সবটা জুড়ে।
সামীউল ইসলাম শামীম 


তার গরম গরম চোখে,
তীর লাগে বুকে।
নরম নরম ঠোঁটে,
মনে দাগ কাটে।
তার আলতা মাখা পায়ে,
হাঁটে ডেনু রাঙিয়ে।
সামীউল ইসলাম শামীম


  
     ক্ষৃণ দৃষ্টি
সামীউল ইসলাম শামীম 
হয়তো আমি কবি নই,
শুধুই একটা ছবি।
হয়তো আমি মহৎ নই,
শষ্য রঙের রবি।
হয়তো আমি জৌতি নই,
নই তো ক্ষণ দৃষ্টি।
নই তো আমি আমির-জাদা,
এক মুষ্ট সৃষ্টি। 
হয়তো আমি নতুন মানুষ,
চিনেছি সবই।
কাপল হস্তে গরম কলুদ,
ভাঙ্গা ডাঙা লুই।
হয়তো আমি জৌতিস নই,
হস্তের রেখা ধরি।
হয়তো আমি একলা বসে,
লেখা শুরু করি।
হয়তো আমি অনেক রাগী,
কাঁদি অভিলাষ।
শুক্ল কালে খড় পুড়েছে,
মিছে মায়ার ফাঁস।
হয়তো আমি ভিসম নিরব,
একলা- একা চলি।
হয়তো আমি ছবির সাথে,
নিজেই কথা বলি। 


আমি যদি কবি হতাম
সামীউল ইসলাম শামীম

আমি যদি কবি হতাম,
হতাম ক্লেশ ফুল।
অম্ল স্মৃতিগুলোর,
মুছে দিয়ে লেখা শত ভূল।
আমি যদি কবি হতাম,
হতাম উড়ন্ত বাঁজ।
নতুন সাজে সাজিয়ে দিতাম,
আজকের এই সমাজ।
আমি যদি কবি হতাম,
হতাম বৃক্ষ লতা।
হতাম অরুন মেঘ,
সবুজ পাতায় লিখে রাখতাম,
আমার মনের কথা।
আমি যদি কবি হতাম,
হতাম তুখোড় পবনে উঠিয়ে দিতাম,
আমার নাওয়ার পাল।
মাঝি হয়ে কাঁটিয়ে দিতাম,
সহজ্র সন্ধ্যা-সকাল।
আমি যদি কবি হতাম,
হতাম কালো মেঘ।
অল্পক্ষণেই বাসিয়ে নিতাম,
বন্যা অভি শেখ।
আমি যদি কবি হতাম,
হতাম তরুণ কবি।
সকাল-দুপুর,বিকেল-সন্ধ্যা,
পরিবর্তন করে দিতাম-
কালো আধার ছবি।
আমি যদি কবি হতাম,
হতাম জোৎসা রাত।
সামন থেকে চমকে দিতাম,
জানাতে সুপ্রভাত।
আমি যদি কবি হতাম,
হতাম শেওলা রঙের পাহাড়।
বাংলাদেশকে নতুন রুপে,
দেখিয়ে দিতাম আবার।
আমি যদি কবি হতাম,
হতাম মলিন ছবি।
বিশাল শ্যামলে খুঁজে নিত,
চমক মাখা কবি।


পাখির স্বপ্ন
সামীউল ইসলাম শামীম

অভিজ্ঞ কবি হলাম,  
সৃষ্টিকর্তার কলমে আমি বসলাম।  
সবুজ পাতায় মন ভরিয়ে,  
শব্দগুলি বাতাসে হাঁকিয়ে।  

চাঁদের আলোয় কবিতা লেখা,  
স্বপ্নের গানে ভাসা প্রেমের গল্পা।  
সৃষ্টিকর্তার মহিমায় মুখে,  
আমি কবি হতাম।
আকাশের নীলে পাখির স্বপ্ন,  
মেঘের বাহুতে প্রেমের ছায়া।  
কবিতার মেলা, বন্ধুত্বের কাব্য,  
প্রকৃতির সৌন্দর্যে মন ভরিয়ে যায়।  

প্রহরের সন্ধ্যা, সুরের রঙিন আলো,  
হারানো স্মৃতিতে আমি হারিয়ে যাও।  
কবিতার মাঝে প্রেমের সম্মিলন,  
সৃষ্টিকর্তার অদ্ভুত কর্মক্ষম।
প্রাচীন বন্ধন, সময়ের দোলা,  
আমার হৃদয়ে বিকাশে আমি মেলা।  
কবিতার আলোয়, স্বপ্নের সুরে,  
সৃষ্টিকর্তার ছবি আমার চরণে।  

বাতাসের বন্ধন, নদীর কান্না,  
প্রেমের সুরে নীল আকাশে মনে ভাসা।  
আমি কবি হতাম, অসীম মহিমায়,  
আর প্রকৃতির সৌন্দর্যে ভরিয়ে নিতাম আমার কবিতায়।

অপূর্ণ স্বপ্ন, অনেক আকাশ,  
আমার কবিতা হলো সুরের প্রণয়।  
বন্ধুত্বের মধুর গান, সময়ের রঙ,  
প্রকৃতির অদ্ভুত মহিমা, হার বাক্যের বাহানা।  

আমি কবি হতাম, অপূর্ণ স্বপ্নের মধ্যে,  
সৃষ্টিকর্তার ছবি মুখে, প্রেমের মেলা চলে।  
আরও পানের গান, আরও স্বপ্নের মাঝে,  
আমি কবি হতাম।





জীবনের মতো গল্প চাই না,
গল্পের মতো জীবন চাই।
সামীউল ইসলাম শামীম 

ভালোবাসার হৃদয়ের ঘরে 
         দিতে চাই তালা
এটা যতটা সুখ দেয়
       তার চেয়ে বেশি দেয় জ্বালা। 
সামীউল ইসলাম শামীম 

না পাওয়ার চেয়ে পাওয়ার আসায়,
বসে থাকা অনেক ভালো। 
সামীউল ইসলাম শামীম 


ভালো লাগা হেরে যায়,
মিথ্যা ভালোবাসার কাছে।
সামীউল ইসলাম শামীম 


বুক ভরা যত জমা কথা,
শুনিতে যদি নাহি চাও।
তবুও করিবে না অবহেলা,
শুধু এইটুকু কথা দাও।

যে মালা গেঁথেছি পরম যতনে,
অন্তরে নিঃসৃত অমূল্য রতনে।
কন্ঠে যদি গো নাহি পরো সে হার,
অনাদরে ফেলিওনা ছুটে ধূলায় ধরণী তলে।
তোমায় চেয়েছি তোমার হবো বলে;
আজও বাধিনি সংসার।
সামীউল ইসলাম শামীম 



 কাবিন নামা
সামীউল ইসলাম শামীম

করেছিলাম বিয়ে-

কাবিননামা হারিয়ে গেছে 
সাক্ষী গেছে মরে 
বউয়ের সংগে এখন আমি 
চলবো কেমন করে।

কাজির কাছে ফোন করেছি 
বন্দি এখন জেলে 
ঘুরতে গেছি বউকে নিয়ে 
কাবিন নামা ফেলে।

ভাবছি বসে হিসাব কোসে 
আবার করি বিয়ে 
কাজি অফিস যাচ্ছি এখন 
পুরাতন বউ নিয়ে।



প্রতিশ্রুতি
সামীউল ইসলাম শামীম

প্রতিশ্রুতি নামে সুন্দর স্বপ্ন,
স্বর্গের সমীপে দুরন্ত মঙ্গল রঙ।
মানুষ হতে চাই সবাই ধন্য,
বিপদ থেকে মুক্তি, জীবনে সুখের খেলা।

আলোর পথে চলতে হবে সবারে,
বিরহের রাতে ক্ষমা আমাদের দেবে।
মানুষের হৃদয়ে প্রেমের জ্যোতি,
বাধাহীন সফলতা, আনন্দের রোদ।

প্রতিশ্রুতির গান সবাই গাও,
ভালোবাসা ও সত্যের সন্ধানে মিলে।
সত্যি আমরা প্রতিশ্রুতি নিবে,
সুন্দর সব সপ্ন পূরণের অপেক্ষায়।

কাছে প্রতিশ্রুতির আলো,
জীবনের দুঃখে বা সুখে আলিঙ্গন।
বন্ধুত্বের বিশ্বাস, প্রেমের অকারণ,
সব হতাশার মেঘ ভেঙ্গে রয়েছে ধরা।

আমাদের প্রতিশ্রুতি হলো মানবতা,
প্রতিটি হৃদয়ে সত্যের আলো আনা।
বিশ্বাস ও প্রেমে চলা, অপেক্ষার মাঝে,
আসবে সে দিন সত্যি নিত্য জীবনের উজ্জ্বল দিন।




তুমি বলে ছিলে
সামীউল ইসলাম শামীম

তুমি বলে ছিলে,
তুমি শুধুই আমার।
কথা কী রেখেছো,
তাই বারে বার।

আমি তোমারি জান,
ওগো প্রাণ।
আমায় ছাড়া বাঁচতে পারনা,
হবে গো মরণ।

তুমি দিয়ে ছিলে প্রতিশ্রুতি,
ভেঙে ছো পিঞ্জর।
দিয়ে ছিলে কথা,
ভেঙে গেছো ঘর।

প্রথম দেখা হয়েছিল,
গোলাপ ফুল হাতে।
দিয়েছো সপে,
শুধু আমার হতে।



   মুগ্ধ দৃষ্টি
সামীউল ইসলাম শামীম

তোর মায়াতে আমি,
হারাবো বল।
তোর ছায়াতে আমি,
পথিক হবো চল।

তোর হাঁসিতে আমি,
মন হারাবো বল।
তোমার চাহনিতে আমি,
পৃথিবী দেখবো বল।

তোর হাতে হাত রেখে আমি,
দুজনে একসাথে হারাবো চল।
তোর ভালোবাসায় আমি,
বেঁচে রব চিরকাল।




আলুভাজি মুর মুরিতে,
পোড়া পোড়া ভাত।
শুকনো পাতার ঝুরঝুরিতে,
জানায় সুপ্রভাত।
সামীউল ইসলাম শামীম 


সবার আগে বিশ্বাস,
ফুরিয়ে যাবে নিশ্বাস।
সবই হবে পর,
মাটিই হবে ঘর।
সামীউল ইসলাম শামীম

কাটে না রোদ দূর, 
নীল জোছনায়।
বৃক্ষের কোটলি পাড়ায়,
আকাশের বুকে কালো-
মেঘ কী সোভা পায়।
সামীউল ইসলাম শামীম

ভালো তারাই বাসতে পারে,
যাদের সুন্দর মন আছে।
সামীউল ইসলাম শামীম 


কথার মায়ায় জড়িয়ো না 
খুঁজো না ভালোবাসার উৎস 
কথার মায়া ভয়ংকর 
ভালোবাসার মায়া বিভৎস।
সামীউল ইসলাম শামীম 



সব আশা পূরণ করতে নেই,
কিছু স্বপ্ন যত্নে রেখে দিতে হয়।
------- সামীউল ইসলাম শামীম




মুঠোয় ভরা অভিমানে
দিয়েছি লিখে, দূরত্ব এক বুক
তুমি যাকে অপেক্ষা বলো
আমি যে নাম দিয়েছি সুখ।

আকাশ ভরা নীলের মাঝে
মন কি খোঁজে অবাক চোখে
তোমার নামেই জীবন বাজি
পথ তাকিয়ে চঞ্চল মেয়ে।

তুমি এসে বাড়িয়ে দাও হাত
তুমি এসে আগলে নাও বুকে
একটা জীবন বিরহ অসুখ ভুলে
খুশি হবে হঠাৎ কোন সুখে।




হও যদি প্রয়োজন —
ভালোবাসা হবে আগ্রাসন,
হও যদি প্রিয়জন —
ভালোবাসা হবে আচ্ছাদন।





কত স্বপ্ন হৃদয় জুড়ে
সামীউল ইসলাম শামীম

এক জানলা আকাশ
কখন পাবো তারে;
কতোকিছু ভাবনা ভাবি
পাইনা কাছে যারে।

ভাবি এক জানলা আকাশ
খোলা বিশুদ্ধ বাতাসে ভরা,
যেখানে থাকবে না অরাজকতা
খুশিময় এই ভুবন জরা।

থাকবে না হিংসা বিদ্বেষ হানাহানি
করবে না কারও বিরুদ্ধে কানাকানি,
এক জানলা আকাশের জন্য
আমরা কতো স্বপ্ন বুনি।



       বিষন্নতা
সামীউল ইসলাম শামীম

নীলাকাশে মেঘের ছায়া
মনে জাগায় রঙের আভা
গোধূলির রঙে লুকানো রঙ
হৃদয় কোণে বাঁধে বাসা।

নিস্তব্ধ সন্ধ্যার নীরবতা
মনে আনে সুখের বার্তা
এক্ষুনি তুমি আসবে ফিরে
অন্তরে বহে সুরের ঝর্ণা।

শেষ বিকেলের একাকীত্বে
মন থাকে তোমার অপেক্ষায়
নীরবতা কত কথা বলে,
বিষন্নতাও শান্তি ছড়ায়।




Popularpoetswriter

আমি আমার অবসর সময়ে কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি।

Post a Comment

Previous Post Next Post