আমি দেখেছি তারেসামীউল ইসলাম শামীম
কোন এক সন্ধ্যা তীরের ধারে।
নীরব নদী ছিল চুপটি করে,
ছায়ারা খেলছিল বাঁশবনের ঘরে।
সে এসেছিল ধীরে, অচেনা হাওয়ায়,
চোখে তার যেনো এক গহন ছায়া।
চুলে বাতাস খেলছিল এলোমেলো,
চাঁদ ছিল আড়ালে, আলোটা ছিল পেলো।
আমি তাকিয়ে ছিলাম, বলতে পারিনি কিছু,
হৃদয়টা যেনো থমকে গিয়েছিল কিছুপিছু।
সে তাকায়নি একবারও পানে,
তবুও কেমন করে চিনে গেছি তাকে প্রাণে।
তার পায়ের ছোঁয়ায় নুয়ে পড়েছিল ঘাস,
প্রকৃতি যেনো থেমেছিল এক নিঃশ্বাস।
আমি শুধু শুনেছি হৃৎস্পন্দনের গান,
তাঁর চলে যাওয়া যেন এক অমলিন প্রাণ।
কে সে? জানি না আজও ঠিক করে,
তবুও সে রয়ে গেছে হৃদয়ের গভীরে।
এক সন্ধ্যার স্মৃতি হয়ে, নিঃশব্দ কাব্য,
চোখের পাতায় এখনো জাগায় অভাব্য।
আমি দেখেছি তারে,
সময়ের অদৃশ্য এক দুয়ারে।
সে ছিল কি মানুষ, না কোনো স্বপ্ন?
চিনতে পারিনি, তবুও সে আজও আপন।