অসুস্থ আত্মাসামীউল ইসলাম শামীম
চুপচাপ হাঁটে একা,
নীরব রাতের পাড়ে
জীবনের মানে খোঁজে।
ভাঙা স্বপ্নের ধ্বংসাবশেষে
সে গড়ে তোলে একা এক রাজপ্রাসাদ,
যেখানে হাসি নেই, শুধু স্মৃতির ছায়া।
ভাঙা মন নিয়ে হাঁটি পথহীন,
ভেতরে জ্বলছে এক আগুন গোপন।
হাসির মুখোশে লুকাই কান্না,
চেনা শহরে আমি বড়োই অচেনা।
চোখে ঘুম নেই, স্বপ্নও ফাঁকা,
আকাশ ডাকে, তবু উড়ে যাওয়া বাঁচা।
ভবিষ্যৎ যেন এক মেঘলা ছবি,
আত্মা কাঁদে চুপে, কেউ না শোনে কবি।
স্মৃতির বোঝা পিঠে বয়ে চলি,
প্রতিটি মুহূর্তে নিজেকে হারাই।
মানুষের ভিড়ে থেকেও একা,
মনের ভেতর তবু বাজে ব্যথার বেজা।
চাই একটু আলো, একটু ভালোবাসা,
চাই না কোনো রাজ্য, শুধু শান্ত ভাষা।
এই অসুস্থ আত্মা চায় নতুন ভোর,
যেখানে হৃদয়ে উঠবে গান, মিলবে সুর।
তবু আশায় বুক বাঁধি,
অন্ধকারের মাঝেও খুঁজি এক প্রদীপ,
যে জ্বালাবে আলো, করবে মুক্তি,
এই আত্মা পাবে একদিন শান্তি।
রাতের গভীর নিস্তব্ধতায়, ছায়া যেন কাঁদে,
অসুস্থ আত্মা বসে আছে, স্বপ্নভাঙা চাঁদে।
হৃদয় তার ক্লান্ত আজ, নিঃশব্দের ভারে,
আলো খোঁজে অন্ধকারে, হাহাকারে তারে।
একদিন যে উড়তো পাখি, নীলাকাশের তলে,
আজ সে কেবল কান্না জড়ায়, হারানো প্রেম বলে।
চেনা মুখ আর হাসি নেই, ভাঙা গানের সুরে,
অসুস্থ আত্মা খোঁজে পথ, কষ্টেরই দূরে।
মৃত সুরের বাঁশির ধ্বনি, নিভে গেছে কবে,
তবুও সে হাঁটে একা, ছায়া জড়ানো রবে।
ভালোবাসা ছিল তারও, স্বপ্ন ছিল রঙিন,
সবই এখন স্মৃতির খাঁচায়, ধূসর বাতাস বিন।
জানো কি তুমি? আত্মা কাঁদে, মুখের ভাষা ছাড়াই,
অদৃশ্য ব্যথা জমে থাকে, অশ্রু ঝরার আগেই।
তবু সে বাঁচে, তবু সে চায়, নতুন সূর্যের ছোঁয়া,
অসুস্থ হলেও আশা তার, একদিন ঠিক রোয়া।